সর্বশেষ খবর

পাইকগাছায় ঘন কুয়াশার সাথে বইছে হিমেল বাতাস, তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

শাহরিয়ার কবির

খুলনার পাইকগাছায় ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশায় বেলা বাড়লেও মেলছে না সূর্যের দেখা। তীব্র ঠান্ডা নিবারণে গ্রাম অঞ্চলে বয়স্ক নারী-পুরুষ খড়-কুটা জালিয়ে শীত নিবারন করছে। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ জুড়ে চলেছে শীতের তীব্রতা।কয়েক দিন ধরে রাতের তাপমাত্রা কমছে। আর এমন অবস্থায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ যেন কাহিল হয়ে পড়ছে।অন্যদিকে শীত ও ঠান্ডায় ঘণকুয়াশার কারনে ভোরে  মাঠে কাজ করা দিনমজুর ব্যাক্তিরা কাজে বাহির হতে হিমশিম খাচ্ছে। শীত বস্ত্রের অভাবে অতি কষ্টে রাত দিন পার করছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষগুলো। এক সপ্তাহ ধরে  সুর্য্যের দেখা না মেলায় ঠান্ডা বেশি অনুভূত হয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে মিলছে না সূর্যের দেখা, কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে গ্রামের মানুষজন।তবে ঠান্ডা উপেক্ষা করে দিন মজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন কাজে বের হলেও প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে আছে তারা।উপজেলায় কুয়াশার দাপট বেসি থাকার কারনে গ্রামগঞ্জে রাস্তা দিয়ে তেমন গাড়ী চলাচল নাই বল্লেচলে। হিমেল বাতাসে স্থবির জনজীবন। চাঁদখালী ইউপির উত্তর গড়ের আবাদ গ্রামে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারন করতেও দেখা গেছে বৃদ্ধা, বয়স্ক নারী, বাচ্ছা সহ অনেকের। এ দিকে ক্রমশই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। তাই অল্প দামে গরম কাপড় কিনতে সব বয়সী নারী-পুরুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে।উপজেলার কপিলমুনি, বাঁকা, চাঁদখালী, গড়ইখালী বাজার, জিরো পয়েন্টসহ উপজেলা সদরের বিভিন্ন জায়গায় স্থায়ী ও অস্থায়ী কম দামের গরম কাপড়ের দোকান বসছে। এসব দোকানে দেখা গেছে ছোট-বড় সব বয়সীর গরম কাপড় বিক্রি করতে।

সরজমিনে দেখা গেছে, কম দামের গরম কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন দোকানিরা। ভোর থেকেই দেখা যায় এসব দোকানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়।এক চা বিক্রেতা মোস্তফা সানা বলেন, বাজারের বড় দোকান থেকে বেশি টাকা দিয়ে গরম কাপড় কিনতে পারি না। শীত থেকে রক্ষা পেতে তাই এই ফুটপাতের কম দামের দোকানে এসেছি। ফুটপাত দোকানি রাজ্জাক বলেন, আমাদের দোকানে সাধারণত স্বল্প আয়ের মানুষ আসেন। যাদের নামি-দামি দোকান থেকে বেশি টাকা দিয়ে নতুন গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই তারাই আসেন আমাদের দোকানে। দেখা গেছে, এসব দোকানেও ভিড় করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।নাম না বলা শর্তে অনেকেই জানান, এ ধরনের পোশাক মার্কেটে ৫-৬’শ টাকার নিচে পাওয়া যাবে না। গরিব মানুষের জন্য ফুটপাতই ভরসা।

এদিকে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বেচাকেনা বেশি হয় এবং প্রতিদিন এখানে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার কাপড় বিক্রি হয়। তাদের কাছে এটি ‘গরিবের হাট’ হিসেবে পরিচিত।অনেক অসহায় শীতার্ত মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা চেয়ে আছেন সমাজের বিত্তবানদের দিকে একটি গরম কাপড়ের আশায়। অন্যদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে ঠান্ডা জনিত রোগের মাত্রাও বেড়ে চলেছে।চিকিৎসকরা জানান, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যাই দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button