কালিগঞ্জ

কালিগঞ্জে একটি সংগ্রামী দম্পতির জীবনের গল্প

শেখ আহসান হাবিব 

গল্পটার শুরু আজ থেকে চার বছর আগে, যখন তারা উভয়ই শিক্ষার্থী। শুরুতে পরিচয়, তারপর প্রণয় এবং শেষে পরিণয়ে সমাপ্ত হয়। যা দুই পরিবারের অসম্মতিতে শুরু হয়। জীবন যুদ্ধের শুরুটা তখন থেকেই। পরিবার থেকে পৃথক হয়ে আলাদা বাসা ভাড়া নেওয়া, পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া। সবচেয়ে বেশি চিন্তার কারণ ছিল উপার্জনের ব্যবস্থা করে জীবিকা নির্বাহ করা। গল্পটা যাদের নিয়ে তারা হলেন জনি সেন, পিতা- অজিত সেন, মহৎপুর এবং নীলা হালদার, পিতা -হল হালদার, বাজার গ্রাম। আর্থিক দুরবস্থায় নীলার প্রাইভেট শিক্ষার্থী পড়ানোর পুরাতন অভ্যাস এক্ষেত্রে অনেক কাজে দেয়। এমতাঅবস্থায় জনির “আকিজ গ্রুপে” সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ এর চাকরিটা আশার আলো হয়ে ওঠে। নীলার কিছুদিন আগে হওয়া “আদ দিন ওয়েলফেয়ার সেন্টার” এর চাকরিটা তাদের উভয়ের অনেক স্বস্তির কারণ হয়। নীলার কোচিং সেন্টারটা এখন এলাকার অনেক গরিব দুঃখী সন্তানদের জন্য শিক্ষার আতুর ঘর। বিয়ের শুরুতে যারা বলেছিল এ বিয়ে বেশিদিন টিকবে না তা আজ চার বছর পূর্ণ হল। এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাদের চতুর্থ বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এলাকার সুধীজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মীরা এ অনুষ্ঠানে  উপস্থিত ছিলেন। তারা এখন উভয়ই অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী। লক্ষ অটুট রেখে সততার সহিত জীবন যুদ্ধে  বিজিত এই  সৈনিক দম্পতিরা এখন এলাকার উদাহরণ। শুধু মনের কোনায় কোথায় একটা কষ্ট রয়ে গেল বিবাহের পরপরই যে নিকট আত্মীয়রা একমাত্র অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায় তাদের অসহযোগিতা। শুভ হোক তাদের আগামী দিনের পথ চলা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button