কলারোয়া

অভাবে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ

 কলারোয়া উপজেলা প্রাণী সম্পাদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি

হাসপাতালে জন বলের অভাবে পশু চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কলারোয়

উপজেলা বাসি। রাজস্ব ১১ জন কর্মচারী থাকার স্থালে আছে মাত্র ৪ জন। কলারোয়া

উপজেলা একটি জনবহুল এলাকা হিসেবে পরিচিত। জনবল সংকট থাকার কারণে

প্রাণী সম্পাদ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় গ্রাম্য

চিকিৎসাক দিয়ে গবাদি পশুর চিকিৎসা দিচ্ছেন যা কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না।

জানা যায় প্রতিদিন প্রায় ৫০/১০০ জন খামারী ও পশুর মালিক গরু ছাগল হাস

মুরগী নিয়ে সেবা নিতে আসে এই হাসপাতালে।

কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় সরকারী প্রাণী চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত

হচ্ছেন তারা। ফলে উপজেলার খামারি ও হতদরিদ্র পশু পালনকারীর গবাদি পশু হাস মুরগী

বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে এবং আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

প্রাণী সম্পাদ অফিসের তথ্য মতে কলারোয়া উপজেলা ১ টি পৌর সভা ও ১১

ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এখানে নিবন্ধিতও অনিবন্ধিত মিলে খামার ও সাধারণ

গবাদি পশু পালনকারীর সংখ্যা ২৯৮ , গরুর সংখ্যা ৭০৭৩০ টি, ছাগল এর নিবন্ধিত ১

টি অনিব›িধত সংখ্যা ৮৫ এখানে ছাগলের সংখ্যা ৬০৬৯২ টি, বয়লার লিয়ার ও

দেশী হাস ও মুরগী খামার সংখ্যা ১২৩ ি ,হাস ও মুরগীর সংখ্যা ৬০৫৯৮৫০ টি।

বর্তমানে উপজেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তাসহ আরো ৩ জন কর্মকর্তা দিয়ে

চলছে কলারোয়া উপজেলা প্রাণী সম্পাদ ( হাসপাতাল) অফিস। সংশ্লিষ্টদপ্তর সুত্রে

জানা যায় এক জন উপজেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা একজন ভেটেরিনারি

সার্জন,চারজন উপজেলা প্রাণীসম্পাদ সম্প্রসারণকর্মকর্তা,একজন উপসহকারী

প্রাণীসম্পাদ (স্বাস্থ্র),একজন ভেটেরিনারী ফিল্ড অ্যাসিস্টান্ট (এফএএ আই বা

কৃত্রিম প্রজননকারী),একজন অফিসসহকারী ,একজন ড্রেসার ও একজন অফিস

সহায়কসহ মোট ১১ জন জনবল থাকার কথা।

১১নং দেয়াড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ওজিয়ার বলেন আমার ছাগল অসুস্থ্য হলে

উপজেলার হাসপাতালের কোন ডাক্তার না পেয়ে গ্রাম্য ডাঃ নিয়ে দেখালাম কিন্তু

কোন কাজ হলো না। বর্তমানে কলারোয়া উপজেলায় ব্যাপক আকারে গবাদি পশু

বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

 

আবহাওয়া জনিত ও বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে পশুপাখী হাসমুরগী গরু ছাগল

অসুস্থা হয়ে পড়ছে এবং ভাল চিকিৎসা না পাওয়ায় অধিকাংশ গরু ছাগল হাস

মুরগী মারা যাচ্ছে। ফলে খামারী সহ অনেক পশু পালন কারী আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ

হচ্ছে। এমনাবস্থ্যায় কলারোয়া উপজেলা প্রানী সম্পাদ হাসপাতালে জনবল

(চিকিৎসক) সংকট থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যতদ্রুত

সম্ভাব চিকিৎসক এর ব্যবস্থা করে কলারোয়া উপজেলা বাসির পশু পালনে

মনোযোগী হয়ে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের

নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন উপজেলা বাসি।

এই বিষয় সদ্য যোগদান কৃত কলারোয়া উপজেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা এ

কে এম আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন জনবল সংকটে থাকার কারণে চিকিৎসা

সেবা দিতে আমাদের অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছে। এটি দ্রুত নিরসনের জন্য

আমি জেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা কে অবহিত করেছি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button