শ‌্যামনগর

অনলাইন জুয়ার মাস্টার এজেন্ডরা নিজেদের রক্ষা করতে পারবে

শ্যামনগর মুন্সিগঞ্জ সংবাদদাতা

অনলাইন জুয়ার মাস্টার এজেন্ডরা নিজেদের রক্ষা করতে রীতিমতো দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। অনেক মাস্টার এজেন্টদের দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক নেতাদের সাথে চলাফেরা করতে। রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা পেতে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করতেও দেখা গেছে।
সম্প্রতি অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভয়ংকর কিছু তথ্য, আটুলিয়া, নওয়াবেঁকী বাজার কমিটির সেক্রেটারির মনিরুজ্জামান মনির পরিবারের ৫জনই মাস্টার এজেন্ট।
মনিরুজ্জামানের ছেলে আবু বক্কার ও তার স্ত্রী রুনা, ভাই আটুলিয়া ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামান লিটিলের ছেলে আব্দুর রহমান, নুরুল হকের স্ত্রী, রহমত আলীর ছেলে ইমদাদুল, হাফিজুর ছেলে আশিক, পদ্মপুকুর ইউনিয়নের চাউলখোলা গ্রামের সাইফুল ইসলাম সোহাগ, পদ্মপুকুর গ্রামের সাহিনুর রহমান ফয়সাল, আল আমিন, পাখিমারা রাকিব, কাছারি ব্রিজের আবু সাঈদ, নাজমুল হোসেন, খুটিকাটা গ্রামের ওবায়দুল্লাহ ঢালী, জাকির হোসেন সানা, আবু বাক্কার, গড় পদ্মপুকুর গ্রামের ইমন হোসেন, চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুর রহিম, গড় কুমারপুর নাঈম হোসেন, বাইনতোলা গ্রামের মমিনুর ইসলাম সাগর, ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের গুমানতলী গ্রামের আসিফ ইমরান, কাজারী ব্রিজের শহিদুল মিস্ত্রির ছেলে আকরামুল ও তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার মেরি, ছোট কুপট গ্রামের তরিকুল ইসলাম সহ আরো অনেকে।
এতে রাজনৈতিক দলের নেতারাও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রভাব দেখিয়ে তারা প্রতিনিয়ত জুয়ার এজেন্টের ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। গেল কয়েকদিন মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হওয়ায় জেঁকে বসেছে প্রশাসন। অভিযানের পাশাপাশি গ্রেপ্তারাও করেছে। সাতক্ষীরা শহর থেকে ডিবি পুলিশ আটক করেছে আটুলিয়া ইউনিয়নের মাস্টার এজেন্ট সুমনকে।
এদিকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে চিহ্নিত পদধারী মাস্টার এজেন্ট শ্যামনগর উপজেলা বেলাল হোসেন ও আটুলিয়া শেখ মিলন হোসেনসহ বেশ কয়েকজন।
স্থানীয় গোলাম রব্বানীসহ অনেকে জানান, অনলাইন জুয়া মাদক চেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। মাদকাসক্ত হলে টাকা নষ্ট করতে সময় লাগে। কিন্তু যারা অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়েছে তাদের সেকেন্ডের মধ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা চলে যাচ্ছে। দিন দিন অনলাইন জুয়া যেভাবে প্রতিটা পরিবারে ছড়িয়ে পড়ছে তা ভয়ংকর। দ্রুত সময়ে নির্মূল করা না গেলে এলাকায় অর্থনৈতিক সংকট পড়বে।
এবিষয়ে নওয়াবেঁকী বাজার বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সেক্রেটারি মনিরুজ্জামান মনি জুয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ১৫দিন আগ পর্যন্ত তার ছেলে মাস্টার এজেন্ট ছিল। প্রশাসনিকভাবে ধরপাকড় শুরু হলে বর্তমানে তার সম্পৃক্ততা নেই।
বেলাল হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান জুয়ার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, অনলাইন জুয়ার মাস্টার এজেন্টের ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। খুব দ্রুতই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button