সাতক্ষীরায় বিজিবির বিশেষ টাস্কফোর্সের অভিযানে বিপুলপরিমাণের অপদ্রব্য পুশকৃত বাগদা ও গলদা চিংড়ি আটকের পর ধ্বংস করা হয়েছে। এসময় এক জনকে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত।
বৃহস্পতিবার ২৮শে নভেম্বর সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা চেকপোষ্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ ট্রাক গলদা, বাগদা চিংড়ি ও দেশীয় বিভিন্ন প্রকার সাদা মাছ আটক করে। বিজিবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজিবি’র সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুদ রানা জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অপদ্রব্য পুশকৃত বাগদা ও গলদা চিংড়ি বিক্রির উদ্দেশ্যে খুলনা হয়ে ফেনী, চট্টগ্রাম, সিলেট গমন করবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আশরাফুল হক এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় আমার নেতৃত্বে ব্যাটালিয়নের নাঃ সুবেঃ মোঃ শামীম আলমসহ একটি চৌকষ আভিযানিক দল নিয়ে সদরের ঝাউডাঙ্গা চেকপোষ্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩ ট্রাক গলদা বাগদা চিংড়ি ও দেশীয় বিভিন্ন প্রকার সাদা মাছ আটক করি।
এসময় অভিযানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রণয় বিশ্বাস এবং সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। আটকে পর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা ও বিজিবি’র সমন্বয়ে গঠিত পর্ষদ কর্তৃক সরেজমিনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১১শ ২২ কেজি বাগদা ও গলদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ সনাক্ত করে। যার মূল্য ১৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৮শ টাকা। অপদ্রব্য পুশকৃত চিংড়ি গুলো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিধায় সেগুলো পুঁড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এছাড়াও অপদ্রব্য পুশকৃত চিংড়ির সাথে অপদ্রব্য পুশ ব্যতিত ২শ ৫০ কেজি বাদগা গলদা চিংড়ি ও ৩ হাজার ৭শ ৬০ কেজি দেশীয় বিভিন্ন প্রকার সাদা মাছ পাওয়া যায় যা; টাস্কফোর্স পর্ষদ কর্তৃক সেগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়। যার মূল্য ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এসময়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অপদ্রব্য পুশকৃত মাছ বাজারজাত করনের দায়ে সদরের লাবসা থানাঘাটা এলাকার জহুরুল মোড়ল এর ছেলে মোঃ আরিফ হোসেন (২২) কে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।