অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশার পক্ষ থেকে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসকের নিকট ৪৭০ পিচ কম্বল প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আশার খুলনা ডিভিশনাল ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল হারুন কম্বলগুলো সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাক আহম্মেদ এর নিকট হস্তান্তর করেন।
এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন আশা সাতক্ষীরা জেলার সদর অঞ্চলের সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার ফরিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর-০১ ও ০২ ব্রাঞ্চের সিনিয়র ম্যানেজার মোঃ আবু সাইদ, মোঃ আব্দুস সাত্তার এমএসএমই শাখার ম্যানেজার বাপ্পী সেন, সদর ব্রাঞ্চের সিনিয়র সহকারী ম্যানেজার জি.এম ফরহাদ হোসেন সহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মীগণ। বেসরকারী সংস্থা আশা প্রতিবছর অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকে। চলতি বছরে আশা সারা দেশে সর্বমোট ১.০২কোটি টাকার কম্বল বিতরনের উদ্যেগ গ্রহন করেছে।
উক্ত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে আশার কর্মকর্তাগণ জানান আশা’র আর্থিক সেবার মধ্যে ক্ষুদ্রঋণ, এমএসএমই ঋণ, কৃষি ঋণ, সঞ্চয়, রেমিটেন্স কার্যক্রম পরিচালনা করে। সমগ্র বাংলাদেশে ৭২ লাখ পরিবার আশা’র সুফল ভোগ করছে। সিএসআর কার্যক্রম (কর্পোরেট সোস্যাল রেসপন্সিবিলিটি) এর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সহায়তা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সহায়তা, উচ্চ শিক্ষা বৃত্তি, ফিজিওথেরাপি সেবা, দুর্যোগকালীন ত্রান সামগ্রী বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, স্যানিটেশন কার্যক্রম। চলতি বছরের স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় কুমিল্লা, নোয়াখালী ফেনি, চাঁদপুর, লক্ষিপুর, এবং সর্বশেষ নেত্রকোণা জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আশা প্রায় ৫৯.৮০ কোটি টাকার এককালীন ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আশা-বিশ্ববিদ্যালয় ও আশা-ম্যাটস এ গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ বৃত্তির মাধ্যমে লেখা-পড়ার সহয়তা করা। তাছাড়া বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে, জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের বৃত্তি দেয়া হয়েছে। আশা’র ঋণগ্রহীতা মারা গেলে ঋনের অবশিষ্ট টাকা মওকুফ এবং দাফন-কাফনের জন্য নগদ ৫,০০০ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়, তাছাড়া সদস্যদের চিকিৎসা সহায়তা, অবসরকালীন অফেরতৎ যোগ্য সদস্য প্রতি ১৫,০০০ টাকা এককালীন অবসর ভাতা প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য যে, সাতক্ষীরা জেলায় ৩২টি ব্রাঞ্চের মাধ্যমে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৮,৮৭৫ জনকে ৬০৮.১২ কোটি টাকা ঋণবিতরণ করা হয়েছে এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১,০১,০০০ জনকে ৭৫০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরনের আওতায় সাতক্ষীরা জেলায় ১১ টি ব্রাঞ্চে ১৬৫ টি শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে ৫১০২ জন শিশুকে শিক্ষাদান চলমান আছে। সাতক্ষীরা জেলায় ১টি ফিজিওথেরাপী সেন্টার জেলা সদরে ও ০১টি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক (আনুলিয়া ব্রাঞ্চে) চালু রয়েছে। গত অর্থ-বছরে সাতক্ষীরা জেলায় সিএসআর খাতে ২.১৬ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। আশা এইচপির আওতায় চলতি মাসে সাতক্ষীরার দ্যা পোল ষ্টার স্কুলে গত ১৯/১১/২৪ তারিখে বিশ্ব স্যানিটেশন দিবস উৎযাপন করা হয়েছে এবং এইচপির অর্থায়নে ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহারের জন্য একটি ল্যাট্রিন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যে কোন জাতীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।