সাতক্ষীরার আশাশুনিতে এক স্কুল শিক্ষক ও জামায়াত নেতাকে ক্রস ফায়ার, মিথ্যা মামলা, শারীরিক নির্যাতন ও ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ের প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১ অক্টোবর বিজ্ঞ আদালত মামলা আমলে নিয়ে ওসি আশাশুনিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ নিয়েছেন।
বিজ্ঞ আমলী আমাদলত নং-০৮, সাতক্ষীরায় কাকবাসিয়া বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও আনুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর হারুনার রশিদ বাদী হয়ে কাকবাসিয়া গ্রামের মৃত নিয়ামত আলী গাজীর ছেলে আ’লীগ নেতা শিহাবুদ্দীন গাজী, চেচুয়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক, মৃত তমেজ উদ্দীন সানার ছেলে আবু দাউদ সানা, কাকবাসিয়া গ্রামের হাসমত আলী (হিটলার), তৎকালীন ওসি গোলাম রহমান, এসআই রাসেল হোসেন, জেলা গোয়েন্দা শাখার সাবেক এসআই হাসান এবং অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে সিআর ৩৯২/২৪ মামলা দায়ের করেন। মামলার আরজি সূত্রে প্রকাশ, আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে বিভিন্ন সময় জীবন নাশ, বাড়িঘর লুটপাটেরর হুমকী ও প্রকাশ্যে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করতে থাকে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে জীবন রক্ষার তাগিদে ২০১৩ সালের পরে বিভিন্ন সময়ে ১-৪ নং আসামীদের কাছে ৫ লক্ষ টাকা দিতে বাধ্য হন। এরপরও জামাত করার অপরাধে চাঁদা দাবী ও হুমকী দিতে থাকেন। আর চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ৩/১২/১৬ তাং আসামীরা বাদীর বাড়ি ঘেরাও করে কাল কাপড়ে চোখ বেধে মাইক্রোযোগে থানায় রিয়ে আটকে রাখা হয়। সেখানে গভীর রাতে অমানষিক নির্যাতন ও বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়। এক পর্যায়ে ক্রস ফায়ারের হুমকী দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা দাবী করা হয়। তার স্ত্রী স্বামীর জীবন রক্ষার জন্য সবকিছু বিক্রয় করে ৩ লক্ষ টাকা দিলেও ছেড়ে না দিয়ে থানায় জিআর-২২২/২০১৬ নং নাশকতা মামলায় চালান করা হয়। জামিনে বাড়িতে ফিরলে আবারও মামলা ও ক্রস ফায়ারের হুমকী দিয়ে চাঁদা দাবী করতে থাকে। চাঁদা না পেয়ে গোয়েন্দা শাখায় যোগাযোগ করে ৭/৯/১৮ তাং বাদীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাদীকে চোখ বেধে গোয়েন্দা অফিসে নেয়া হয়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে সাদা কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে তার স্ত্রীর নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা আদায় করে দুদিন পরে আশাশুনি থানায় জিআর ১৩৬/১৮ নং নাশকতা মামলা সাজিয়ে চালান করা হয়। আসামীরা একের পর এক হুমকী ধামকী, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা ও চাঁদার টাকা আদায়ের মাধ্যমে বাদীকে সর্বশান্ত করে দিয়েছে। এব্যাপারে ন্যায় বিচার ও সুষ্টু প্রতিকার পেতে আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছেন বাদী।