কালিগঞ্জে আবারো কৃষ্ণনগর পরিষদের কাজে ফিরতে চান ভাইরাল চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন
শেখ আহসান হাবিব কালিগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি: কালিগঞ্জের ১ নং কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান তার কাজে ফিরে জনগণের সেবা অব্যাহত রাখতে চান, কিন্তু কতিপয় কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে তার বাবার মত নিজের প্রাণ বিসর্জন দিতে হয় কিনা এই সংশয়ে তিনি পরিষদে আসতে পারছেন না এবং সঠিক ভাবে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। এ বিষয়ে তিনি জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি যতদিন বেঁচে আছেন তার বাবার খুনিদের সাথে আপস করবেন না এবং তার বাবার খুনিদের সঠিক বিচার দেখাটাই তার শেষ চাওয়া। এই সন্ত্রাসীদের রাজত্ব আর কতকাল থাকবে? বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের পর পুনরায় ২০২৪ সালে স্বাধীন হলেও সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কিছু সন্ত্রাসীদের কাছে বারে বারে পরাজিত। কতিপয় চিহ্নিত ডাকাত চক্র, চাঁদাবাজ যাদের অন্য আর কোন কাজ নেই তারা শান্তিপ্রিয় সম্ভাবনাময় এই ইউনিয়নকে রক্তাক্ত করে আসছে। যার সূচনা হয় ২০১৮ সালে তৎকালীন রানিং ইউ.পি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনকে হত্যার মাধ্যম দিয়ে। তার শূন্যস্থান পূরণ করেন তার সুযোগ্য স্ত্রী তৎকালীন নির্বাচিত চেয়ারম্যান আকলিমা খাতুন। আকলিমা খাতুন এর মেয়াদ পূর্ণ অন্তে অত্র ইউনিয়নের উন্নয়ন ও নিরাপত্তার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বাবার জনপ্রিয়তার কারণে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, অন্যায়ের কাছে মাথা না নোয়ানো, অকালে নিহত মোশাররফ হোসেনের মেয়ে সাফিয়া পারভিন। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর ইউ.পি পরিষদকে গড়ে তোলেন আদর্শ ন্যায় বিচার স্থল। তার এই কাজই কাল হয়ে দাঁড়ায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কারণে সাময়িক আইন-শৃঙ্খলা সংস্থা গুলোর শিথিলতায় আজ আবারো বাবার মত যেকোনো সময় আরেকটি হত্যাকাণ্ড দেখতে পারে ইউনিয়ন বাসি। যার প্রকাশ্য নমুনা সাফিয়া পারভিন এর বসতবাড়ি, ব্যবহারিত গাড়িতে আগুন, লুটতরাজ চালিয়ে প্রমাণ করেছে বাবার খুনি সহ নব্য কিছু সন্ত্রাসীরা। কতিপয় এই সন্ত্রাসী দ্বারা আজ ইউনিয়নবাসী জিম্মি এবং বর্তমান চেয়ারম্যান প্রাণের ভয়ে এলাকাছাড়া। এর বিচার আল্লাহ ছাড়া আর কেউ কি করার নেই সুশীল সমাজের কাছে এ প্রশ্ন এতিম এই ভাইরাল চেয়ারম্যানের? তিনি সাংবাদিক কে ফোনের মাধ্যমে জানান নিরাপত্তা জনিত কারণে তিনি পরিষদ তথা তার জন্মস্থলে যেতে পারছেন না। কারণ তিনি তার বাবার মত লাশ হতে চান না। এজন্য তিনি ইউনিয়নবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।