সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিতের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি
স্টাফ রিপোর্টার
সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করার দাবিতে জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন একাধিক অভিভাবক। ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা।
অভিভাবকদের পক্ষে একেএম অহিদুজ্জামান, মোঃ আবু সাঈদ, মোঃ তৌহিদুজ্জামান, সঞ্জয় শীল, মোঃ নাসির উদ্দীন, মোঃ আব্দুল্লাহ শরীফ ও মোঃ জামসেদ আলী স্বাক্ষরিত যৌথ আবেদনপত্রে তাদের সন্তানদের ভর্তি নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতি দাবি জানান।
এছাড়া সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি নিতে অস্বীকার করা আয়েশা সিদ্দিকার (সিরিয়াল নং ৭৯) টিকে ইউনাইটেড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফরোজা খাতুন তার কন্যা আয়েশাকে ভর্তির জন্য পৃথক আবেদন করেছেন।
উল্লেখ্য, লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হলেও সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ৭ বছরের কম ও ৯ বছরের বেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। ভর্তি নীতিমালা বহির্ভূত হওয়ায় এসব শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মাসুদ রেজা ও তামিম সুলতানা নামক ২ জন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৯ বছরের বেশি হলে ভর্তি নিবে না এটা স্কুল কর্তৃপক্ষ আগে কেন বলে নি? আমরা যখন অনলাইনে ভর্তির আবেদন করেছিলাম বা লটারির সময় বয়সের বিষয়ে কথা হয় নি এখন আমাদের বাচ্চারা লটারিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে অজুহাত কেন? যেহেতু আমাদের বাচ্চারা যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়েছে সুতরাং তাদের ভর্তি নিতেই হবে এটা আমাদের জোর দাবি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ জানান, ৯ বছরের বেশি হলে ভর্তি হওয়া যাবে না এটা নীতিমালায় স্পষ্ট লিখিত আছে। নীতিমালা অনেক আগে সরকার প্রণয়ন করেছে। নীতিমালার বাইরে কিছু করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না।