গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পদ্মশাখরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল মেইন পিলার ১ হতে আনুমানিক ১ কিঃমিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন দক্ষিণ হাড়দ্দহা নামক স্থান হতে ৮৪,০০০ টাকা মূল্যের বাংলাদেশী রশুন আটক করে। বৈকারী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ৭-৬৫-এস হতে আনুমানিক ০৪ কিঃমিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতানী নামক স্থান হতে ২,৪০,০০০ টাকা মূল্যের বাংলাদেশী বন্যপ্রানী (মুখপোড়া হনুমান) আটক করে। কাকডাঙ্গা বিওপি পৃথক দুইটি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩-৩-এস হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন ভাদিয়ালী এবং গেড়াখালী নামক স্থান হতে ১,০৫,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ী আটক করে। এছাড়াও, চান্দুরিয়া বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৭-৭-এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আমবাগান নামক স্থান হতে ৭০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
সর্বমোট ১,১৬,৫৫,০০০ (এক কোটি ষোল লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার) টাকা মূল্যের বিভন্ন চোরাচালানী মালামাল আটক করে।
চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে।
দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশে এবং দেশের তরুন/যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।