তালায় জমি লিখে না দেওয়ার প্রভাবশালী কর্তৃক প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
সাতক্ষীরার তালায় প্রভাবশালীর নামে জমি রেজিস্ট্রি করে না দেওয়ায় এক ব্যক্তিকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি সম্পত্তি জবর দখলসহ হত্যার হুমকি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তালা উপজেলার হাজরাকাটি গ্রামের আব্দুল জলিল খাঁ’র ছেলে মোঃ মনিরুজ্জামান (৩০)।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দিঘালরআইট গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে কহিনুর আলম আমার মামা। বর্তমানে তিনি ঢাকার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ২ নং রোডে বসবাস করেন। মামা কহিনুর আলম তালা উপজেলা সদরের আটারই গ্রামের মোসলেম গাজী এবং তাহার স্ত্রী জামিলা খাতুনের নিকট হতে আটারই মৌজার, এস এ খতিয়ান- ১৮০ এর ৩৩২৮, ৩৩২৯ নং দাগে ১.২৩ একরের মধ্যে ০.১২ একর যা আর এস দাগ নং-১৪৮৩ নং খতিয়ানের ৩৫৫৪ দাগে ০.১২ একর সম্পত্তি ক্রয় করেন। কহিনুর আলম চাকরীর সুবাদে ঢাকায় থাকার কারণে জমি ঠিকঠাক দেখাশুনা করতে না পারায় ২০২৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি উল্লেখিত তফশিল বর্ণিত সম্পত্তিটি সাতক্ষীরার বিজ্ঞ নোটারি পাবলিক কার্যালয় থেকে এফিডেফিট করে সম্পত্তির ক্ষমতা আমার নামে হস্তান্তর করেন। সেই থেকে সেখানে বসতবাড়ী তৈরী করি আমি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছি। জমিটি ক্রয় করার পর থেকে উক্ত সম্পত্তি নিয়ে স্থানীয় মৃত ইসাক সরদারের ছেলে হাফিজুর রহমান (৪৫), মৃত, হোসেন আলী সরদারের ছেলে মোঃ মমিন সরদার (৫০), মিজানুর রহমান খোকনের স্ত্রী রেহেনা পারভিন (৩৫) এর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
মনিরুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে তারা প্রায় সময়ে আমার সম্পত্তি জবরদখল করার চেষ্টা করে এবং সম্পত্তি তাদের নামে রেজিস্ট্রি করে দিতে হবে বলে নানা ধরনের জীবননাশের হুমকি দিতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উল্লেখিতরা আমার সম্পত্তিতে গিয়ে তাদের নামে লিখে দিতে বলে, না হলে সম্পত্তিতে কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিবে না বলে হুমকি দেয়ে। বিষয়টি নিয়ে তালা থানায় অভিযোগ দিলে কোন সুরাহ হয়না। এঘটনার পর গত ২ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার দিকে হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা জমিতে থাকা টিনের বসতবাড়ীতে হামলা চালায়। যেটার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণে রয়েছে। তারা বাড়ির সিমানা প্রাচীর ভাংচুরের পাশাপাশি প্রায় তিন হাজার ইটসহ রড সিমেন্ট লুটপাট করে নেয়। এসময় বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাকে বেদম মারপিট করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার তরে তালা হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাফিজুর রহমান তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পুনরায় জমিতে জবরদখলসহ নিজেদের আয়াত্তে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। বিষয়টি উল্লেখ করে ইতোমধ্যে আদালতে শরণাপন্ন হয়েছি।
এদিকে, হাফিজুর রহমানসহ তার সন্ত্রাসী বাহীনি প্রতিনিয়ত আমাকেসহ আমার পরিবারের সদস্যদেরকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তাদের হুমকি ধামকিতে বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
তিনি এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি অভিযুক্তদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।