টানা দুইবার নারী সাফ টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের এটি টানা দ্বিতীয় শিরোপা।
২০২২ সালে যেখানে রচিত হয়েছিল নতুন গল্প, নেপালের সেই দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামেই ফের গল্পের নতুন অধ্যায় লিখল বাংলাদেশ।
নতুন এই অধ্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন সাতক্ষীরা। কেননা সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অধিনায়ক সাবিনা, মাছুরা ও আফঈদা খন্দকার প্রান্তির বাড়ি এই সাতক্ষীরায়। ইতোমধ্যেই এই তিন কৃতি খেলোয়াড়ের নিজ জেলায় শুরু হয়েছে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস।
সাতক্ষীরা শহরের সবুজবাগ এলাকায় জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের বাড়ি। সাবিনার বাবা মো. সৈয়দ আলী গাজী ২০২০ সালে মারা যান।
অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের সেজ বোন শিরিনা খাতুন বলেন, সাফ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আমাদের খুবই ভালো লাগছে এবং পরিবারের সবাই অনেক খুশি। সাবিনা অবশ্যই আমাদের সাতক্ষীরার গর্ব।
সাতক্ষীরা শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে বিনেরপোতা এলাকায় মাসুরারা নতুন বাড়ি করেছেন। সরকারের দেওয়া আট শতক জমির ওপর বাড়ি বলতে ইটের দেয়ালের ওপর টিনশেডের দুই কক্ষের ঘর।
সাতক্ষীরার সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা আফঈদা। খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্সের ছোট কন্যা তিনি। তার বাবা একজন ক্রীড়া সংগঠক। প্রান্তি ছোটবেলা থেকেই বাবার কাছে ফুটবল অনুশীলন করতেন।
খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স বলেন, বাংলাদেশ নারী ফুটবল টিমে সাতক্ষীরার তিন কৃতি সন্তান রয়েছে। তিনজনই কিন্তু এই জয়ের পেছনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যে কারণে বাংলাদেশ কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। ২০২২ সালে প্রথম সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতা কিন্তু আজকে এই বাংলাদেশের মেয়েরা। নবীন এবং পুরাতনদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ টিম তারা আবারও প্রমাণ করেছে দক্ষিণ এশিয়ার ভেতরে বাংলাদেশ আসলেই চ্যাম্পিয়ন।বাবা হিসেবে আমি অত্যন্ত গর্বিত, আমার পরিবারও গর্বিত। সাতক্ষীরাবাসী আমাদের যেভাবে উৎসাহিত করেছে তা অকল্পনীয়।
ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু বলেন, সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ আবারও গৌরব অর্জন করেছে। পরপর দুটি সাফ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ গৌরব অর্জন করল। এই দলে আমার নিজ জেলা সাতক্ষীরার তিন কৃতি খেলোয়াড় রয়েছে। যার মধ্য বাংলাদেশকে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দানকারী সাবিনা, মাসুরা ও প্রাপ্তি। তিনজন খেলোয়াড় সাতক্ষীরা থেকে প্রতিনিধিত্ব করছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। এই বিজয় নতুনভাবে উদযাপন করবে বাংলাদেশের মানুষ।