দেশ স্বাধীনতা অর্জন করলেও বৈষম্য এখনো দূর হয়নি : মুফতি ফয়জুল করিম চরমোনাই
মোঃ খলিলুর রহমান, সাতক্ষীরা
নির্বাচনে যে দল মোট প্রদত্ত ভোটের যত শতাংশ পাবে, সেই অনুপাতে সংসদে প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে। বিশ্বের অনেক দেশে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি অনুসরণ করছে। অনেক আগেই আমরা প্রস্তাব রেখেছিলাম। এটা করলে ছোট দলগুলো আর বৈষম্যের শিকার হবে না।আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রস্তাব। পিআর সিস্টেমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে মনোনয়ন বাণিজ্য ও দুর্নীতিও থাকবে না।
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা ফুটবল মাঠে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমির শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম। তিনি বলেন, ‘এ দেশ চারবার স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতা অর্জন করলেও আমাদের থেকে বৈষম্য দূর হয় নাই। একাত্তরে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, কিন্তু আমরা এগুলো ভুলে গিয়ে ভারতের নীতি আদর্শ গ্রহণ করেছিলাম। সুতরাং ভারতের সংবিধানে যে চারটি মূলনীতি রয়েছে বাংলাদেশের সাংবিধানে সে মূলনীতি গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘বিগত হাসিনা সরকার দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, তার কর্মচারী, পিএসরা শত শত কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। ৯৮ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে লুট করে নিয়ে গেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘যতদিন ইসলামী অর্থব্যবস্থা দিয়ে দেশ পরিচালিত না হবে ততদিন এদেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। বিগত দিনে আমরা আওয়ামী লীগের শাসন দেখেছি, বিএনপির শাসন দেখেছি, জোটের শাসন দেখেছি, এরশাদের শাসন দেখেছি, কিন্তু কোনো দুর্নীতি কমে নাই, মানুষের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন হয় নাই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পাটকেলঘাটা থানার সভাপতি মহিবুল্লাহ খান রেজার সভাপতিত্বে গণসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মো: শুয়াইব হোসেন। বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা একেএম রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি সরোয়ার আলম, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক কাজী অয়েজ কুরনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, মুহাদ্দিস মোস্তফা শামসুজ্জামান, মাওলানা মুবাসসিরুল ইসলাম তকি ও সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।