সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর গ্রামে ভোর রাতে কমলা বেগম (৫৫) নামে এক মহিলার গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে তাকে হত্যার পর বাড়ির কাছে বিচালীর গাদার (খড়ের পালা) পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। শুক্রবার শেষ রাতে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। নিহত কমলা বেগম দক্ষিণ দরগাহপুর গ্রামের মোবারক গাজীর স্ত্রী।
পুলিশ, পারিবারিক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার রাতে মোবারক গাজী পরিবারের সকলকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর রাতে ফজরের আজান হয়ে গেলে মোবারক তার স্ত্রীকে ডেকে দিয়ে মৎস্য ঘেরে চলে যান। তাদের পরিবারের সকলে তখনো ঘুমিয়ে ছিল। তিনি মৎস্য ঘের থেকে ভোর ৬.৫০ টার দিকে বাড়িতে ফিরে এসে স্ত্রীকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বসত বাড়ির নিকটে বিচালী গাদার পাশে স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করলে হত্যাকান্ডের ঘটনা জানাজানি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। পারিবারিক কলহের কারণে তাকে জবাই করে হত্যা করা হতে পারে বলে এলাকায় আলোচনা হতে শোনা গেছে।
গ্রাম পুলিশ রবিউল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এসে বেলা ১১টার দিকে কমলা খাতুনের লাশ উদ্ধার করেন।
নিহতের স্বামী মোবারক গাজী জানান, প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি কমলা বেগমকে বিয়ে করেন। প্রথম পক্ষে খানজাহান আলী নামে এবং দ্বিতীয় পক্ষে অলিউর ও ফয়জুল নামে দুই ছেলে আছে। পারিবারিক কলহের কারনে কমলার সঙ্গে তিনি এক ঘরে থাকেন না। শুক্রবার ভোরে নামাজ পড়তে উঠে তিনি
কমলাকে ডেকে দিয়ে মাছের ঘেরে চলে যান। সকাল ৬.৫০ টার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে কমলাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে পাশের বিচালী গাদার কাছে কমলার গলাকাটা লাশ দেখতে পান।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থান পরিদর্শন, সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থান থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে। নিহতের স্বামী, ৩ পুত্র ও ৩ পুত্রবধূদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।