হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনমনে আস্থা ও মনোবল বৃদ্ধিতে সীমান্তবর্তী এলাকার পূজা মন্ডপ গুলোতে টহল কার্যক্রম শুরু করেছে বিজিবি।
বুধবার (২ অক্টোবর) থেকে সাতক্ষীরার নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন ১৭ বিজিবির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকার পূজা মন্ডপ সমূহে এই টহল কার্যক্রম শুরু করেছে। শুক্রবার (৮ অক্টবর) ব্যাটেলিয়ন সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, আগামী ৮-১৩ অক্টোবর পর্যন্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে ২ অক্টোবর সকাল থেকে নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন ১৭ বিজিবি এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকার পূজামন্ডপসমূহে বিজিবির রেকী কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অত্র ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকার ০৮ কিঃমিঃ এর মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা-১৫টি, কালিগঞ্জ-১৬টি ও শ্যামনগর উপজেলায় ০৮টি সর্বমোট ৩৯টি পূজামন্ডপ রয়েছে। উক্ত এলাকায় কর্তব্যরত বিজিবি টহলদলকে ০২টি টাক্সফোর্সে বিভক্ত করে ০৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য দ্বারা ০৮টি সেকশনে ভাগ করে পূজামন্ডপসমূহ ও এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও জনমনে আস্তা/মনোবল বৃদ্ধিকারী টহল পরিচালনা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিজিবির রেকীদল পূজামন্ডপসমূহে সিসি ক্যামেরা, জেনারেটর, পর্যাপ্ত সেচ্ছাসেবক, পূজামন্ডপসমূহে দূস্কুতিকারী কর্তৃক আক্রমনের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে। এছাড়াও বেইজ ক্যাম্প হতে পূজামন্ডপসমূহে ৩০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছানোর বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। যে সকল পূজামন্ডপে পৌছাতে ৩০ মিনিটের বেশী সময় প্রয়োজন হবে সে সকল পূজামন্ডপের নিকটবর্তী স্থানে বেইজ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। দায়িত্বপূর্ণ পূজামন্ডপ এলাকার গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও পূজা কমিটির সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় করে টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। নীলডুমুর ১৭ ব্যাটেলিয়ান বিজিবির এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।