১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সোমবারগ্রীষ্মকাল আশাশুনিতে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে জেলা বিএনপির ত্রাণসামগ্রী বিতরণ - বর্তমান সাতক্ষীরা
আশাশুনিরাজনীতি

আশাশুনিতে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে জেলা বিএনপির ত্রাণসামগ্রী বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট গ্রামের খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে বিছট গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ পরিবারের মাঝে এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। পরে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বিছট গ্রামের ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ, সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, যুগ্ম আহবায়ক আবুল হানাস হাদী, যুগ্ম আহবায়ক আক্তারুল ইসলাম, আহবায়ক কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন সিদ্দিকী, হেদায়তুল ইসলাম, আওছাফুর রহমান তুহিন, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস, মশিউল হুদা তুহিন প্রমুখ।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সার্বিক দিক নির্দেশনায় বিছট গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হলো। নদী ভাঙনের শুরু থেকেই জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আমার খোঁজ খবর রাখছিলাম। আমাদের উপজেলার নেতৃবৃন্দকে আমরা ভাঙনকবলিত এলাকায় পাঠিয়েছিলাম। আমরা এই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে আছি। বিএনপির পক্ষ থেকে আনুলিয়া ইউনিয়নের নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।
সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু বলেন,সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে শুরু থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রতি নজর রেখেছে। সেই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এই মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
বিএনপির ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমে প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত ১০০টি পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল, আটা, বিশুদ্ধ পানি  পেঁয়াজ ও আলু বিতরণ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে যেসব পরিবার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এবং অধিক অসহায় অবস্থায় রয়েছে, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহায়তা প্রদান করা হয়।
সম্প্রতি খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে বিছট, নয়াখালী, বল্লভপুর, আনুলিয়া, চেঁচুয়া, চেঁচুয়া ও কাকবশিয়াসহ ছয়টি গ্রামের নিম্মাঞ্চলে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নদীর বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে শত শত পরিবার ঘরবাড়ি, খাদ্য মজুত ও জীবিকা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিশেষ করে দরিদ্র কৃষক, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন চরম বিপদে পড়েছে। বিশুদ্ধ পানির সংকট ও পানিবাহিত রোগের আশঙ্কা মারাত্মক আকার ধারণ করছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button