শ্যামনগরে মি-থ্যা হ-ত্যা মামলা দিয়ে একটি পরিবারকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ

শ‌্যামনগর

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিএনপি নেতা মাসুদুল আলমের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির হৃদরোগে অক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দিয়ে একটি পরিবারের সকলকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। সোমাবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্যামনগর উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের শেখ আব্দুল বারির স্ত্রী নুরজাহান বেগম এই অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, গত ২৯ শে সেপ্টেম্বর আমার চাচা শশুর শেখ আব্দুল আজিজ স্টোক জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় গাবুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মাসুদুল আলম আমার চাচার মেয়ে স্বামী পরিতাক্তা আজমুন নাহারকে ভয় ভীতি দেখি তদন্ত ওসি ফকির ইলিয়াসকে ম্যানেজ করে আমার পরিবারের সকল সদস্যের নামে মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করে। পরে ময়না তদন্ত রিপোর্ট স্টোকে মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করায় থানা থেকে মামলায় ফাইনাল দেয়। এই সুযোগে তার সন্ত্রাসী বাহিনী ওহিতুজ্জামান, শহিদুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, মন্জু গাজী, মনিরুল, ইব্রাহিম, রিপন, কবিরুল ইসলাম, খালিদ হোসেন গত ৯ অক্টোবর ভোর রাতে সাংবাদিক শেখ আব্দুল হাকিমের সরকারি টিসিবির গোডাউনে লুটপাট করায়। তারা ইলেকট্রনিক্স সান মেশিন দিয়ে গোডাউনের চারটি তালা কেটে ভিতরে থাকা ৫৫০ টা তেল, দুই বস্তা ডাউল, সাত বস্তা চাউল, ৯৪টি কার্টুন, ১৩৬টি বস্তাসহ ক্যাশ টেবিলে থাকা সাড়ে চার হাজার ও টেবিলসহ প্রায় অর্ঘ্য লক্ষ টাকার মাল লুট করে। এসময় তারা শেখ আব্দুল হাকিমের সরকারি টিসিবির দুইটি ঘর দখল করে বিএনপির অফিস তৈরীর করে।
তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান মাসুদুল আলমের নির্দেশে তার বাহিনীর সদস্যরা আমরা বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আমার স্বামীর চারটি মৎস্য ঘেরের মাছ রাতের আঁধারে ধরে নিয়ে চেয়ারম্যান মাসুদুলের বাড়িতে নিয়ে যায় ও পাশে চাঁদনীমাখা মাছের সেটে বিক্রি করে। এভাবে তারা আমাদের অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।
নুরজাহান বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীর বাড়ির সামনে চারটে দোকান ঘরের ছাদ দেওয়ার প্রাক্কালে গত ৮ই ফেব্রæয়ারি বিকাল পাঁচ টার দিকে খায়রুল ইসলাম, ওইদুজ্জামান আপ,ু আইয়ুব গাজী, সবুজ গাজী, মঞ্জু গাজী, মনিরুল আমার স্বামীকে ডেকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে গত ১৬ ফেব্রæয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উল্লেখিতরা সহ ৪০/৫০টি মোটরসাইকেল যোগে বহু লোক আমার বাড়িতে এসে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তারা বাড়ি ভাঙচুর করে। এমসয় আমাদের দুই মহিলাকে মারপিট করে চলে যাবার সময় ছাদে ব্যবহৃত ১৫০ কেজি কাটা রড নিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে শ্যামনগর থানায় এজাহার দিলে থানার ওসি মামলাটি এখনো রেকর্ড করেননি। তিনি এঘটনায় আইনগত সহায়তা প্রদানের লক্ষে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *