মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইতিহাসই মুক্তিযুদ্ধ। বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার নাম মুক্তিযুদ্ধ। পরাধীনতার গøানি মুছে ফেলার নাম মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার নাম মুক্তিযুদ্ধ। জাতীয়তাবাদীর অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখার নাম মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশের অস্তিত্বের নাম মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্বের নাম মুক্তিযুদ্ধ। এদেশের নারীর স্বাধীনতায়, নারীর অধিকার, নারীর মান সম্মান, নারী মর্যাদা রক্ষার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। ঐক্যবদ্ধভাবে সকল শ্রেণির, সকল পেশার মানুষের বসবাসের জন্য স¦শস্ত্র বিপ্লব ও সংগ্রামের মাধ্যমে সাহসী বাঙালীরা হাতে অস্ত্র নিয়েছিল এবং মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। বাংলার সার্বভৌমত্ব যাতে বিলীন না হয় তার জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করে পাকিস্তানী হায়েনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল। হঠাৎ করে লক্ষ্য করছি একটা গোষ্ঠী, একটা সম্প্রদায়, একটা শ্রেনির মানুষ তলে তলে স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপ প্রচার চালিয়ে নতুন করে পাকিস্তানিদের সংগে আঁতাত করতে যাচ্ছে। ১৯৭১ এর রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত, নারীর সম্ভ্রম বিলিয়ে দিয়ে, শ্লীলতা হানীর মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা, মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আনা মুক্তিযুদ্ধ। সকল শ্রেণির নিপীড়ন অত্যাচার, নির্যাতন ও নির্মমতার ভেতর দিয়ে আসা এই স্বাধীনতা কখনও বিফলে যেতে পারে না। মুছে ফেলা যাবে না। মুছে ফেলতে দেওয়া হবে না। কেন জানিনা, আবার নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বিষ বাষ্প ছড়ানো হচ্ছে। এরা কেন এখনও এদেশের জাতীয়তাবাদের প্রতীক জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত? যে লক্ষ নিয়ে, যে উদ্দেশ্য নিয়ে বীর বাঙালি হাতে অস্ত্র ধরেছিল, যুদ্ধ করেছিল, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সেই লক্ষ্য বা গন্তব্যে এখনও বাংলাদেশ পৌছাতে পারেনি। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরবর্তী যে কথা বলতে চেয়েছিল তা এখনও পর্যন্ত বলতে পারেনি। ঘুষ দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, ন্যায় বিচার এবং আসলে যারা দেশের জন্য, দশের জন্য, মানব কল্যানের জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সামাজিক নিরাপত্তার জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে জীবন দান করলো তাদের জন্য বাংলাদেশ কিছুই করতে পারলো না। এক রাজ্য হতাশা নিতে হলো তাদের কে। তাদের রক্তের ঋণ কখনও শোধ করা সম্ভব নয়। গর্বিত সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও সম্ভব হলো না। এজন্য এই সোনার বাংলাদেশ এবং তার মাটি আজ আমাদের উপরে অনেক ক্ষুব্ধ। যে কোন সময় আমাদের উপর চরম প্রতিশোধ নিবে। আমি মনে করি, বাংলাদেশ নামক দেশটার উপর স্বাধীনতা পরবর্তী যে সমস্ত দল ক্ষমতায় ছিল তারা ক্ষমতার দম্ভে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চিরতরে ভূলে গিয়েছিল। মুক্তিযদ্ধের মর্ম তারা বুঝতে পারিনি। তারা এক নায়কতন্ত্র কায়েম করেছিল। অন্য কোন রাজনৈতিক দল বা তাদের চিন্তা, চেতনা, ভাবনার বা মতামতের বাইরে যারা অবস্থান নিয়েছে তাদের উপর দিয়ে স্টীম রুলার চালানো হয়েছে। বাংলাদেশের অস্তিত্বের উপরে, স্বাধীনতার উপরে, সার্বভৌমত্বের উপরে যারা আঘাত দিয়েছে তারাও কিন্তু নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। অত্যন্ত করুন অবস্থার ভেতর দিয়ে তাদেরকে বিদায় নিতে হয়েছে। নাম বলতে চাচ্ছিলাম না, তবুও না বলে থাকতে পারছি না। আমরা বাঙালি জাতির জন্য যাকে সাহসী সন্তান বলি, বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়েছিল, জাতির পিতা- নাম দেওয়া হয়েছিল। সেই শেখ মুজিবুর রহমানের করুণ মৃত্যুর কথা। যিনি ক্ষমতায় যাওয়ার পর ভূলে গিয়েছিলেন অসহায়, দরিদ্র্য, কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের কথা। এরপর বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, মা মাটি মানুষের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তিনিও ক্ষমতায় যেয়ে ভূলে গেলেন পল্লী মানুষের কথা। কিন্তু তিনি কিছু কাজ করেছিলেন যেমন জনগনের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য খাল খনন কর্মসূচী, দারিদ্র্য বিমোচেনের জন্য বৃত্তিমূলক শিক্ষা, গ্রামে গ্রামে মানুষের সমান অধিকার ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য গ্রাম সরকার, গুচ্ছ গ্রাম ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু তাকেও অত্যন্ত হৃদয় বিদারক অবস্থার ভেতর দিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। এরপর আমরা পেলাম আরেক স্বৈরশাসক যিনি হলে হুসেইন মোঃ এরশাদ, যিনি ইচ্ছে মত দেশ শাসন করেছেন। বহু নিরঅপরাধ মানুষের জীবন বিভিন্ন ভাবে তার শাসন আমলে ঝরেছে। ১৯৯০ এর স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে যে দূর্বার আন্দোলন ও লাগাতার কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়েছিল সেও তো এই ছাত্র সমাজ করেছিল। তখনকার সময়ের তুখোড় ছাত্র নেতা, আমানুল্লাহ আমান, খায়রুল কবীর খোকন, হাবিবুর রহমান হাবিব, অসীম কুমার উকিল, জহির উদ্দীন স্বপন, মুস্তাক আহম্মেদ, বেলাল হোসেন, নাসিরুদ্দোজা, নাজমুল হক প্রধান, সুলতান মোঃ মনসুর, শামছুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন তাদের সাহসী নেতৃত্বে তারা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শপথ করেছিলেন ১৯৯০ এর ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবস পালন করার আগেই ইনশাআল্লাহ স্বৈরাচারী সরকার এরশাদের পতন ঘটাবোই। হুসেইন মোঃ এরশাদ সত্যিই দীর্ঘ ৮ বছর ৮ মাস ১২ দিন ক্ষমতা ভোগ করার পর ৯০ এর ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ পত্র পেশ করলেন। নতুনভাবে মনে হলো আমরা সবাই বিজয় দিবস পালন করলাম। লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে আসলো। সূর্য উদয়ের সাথে সাথে রক্তিম আভায় নতুন বাংলাদেশ নাচতে লাগলো, হাসতে লাগলো মনে হলো বাংলাদেশ নামক দেশটি স্বার্থক হলো। আমাদের মানচিত্র থেকে সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, বাহুবল, পেশী শক্তি, অন্যায়, অবিচার বিদায় নিতে যাচ্ছে। আমি সফল, আমি স্বার্থক। স্বাধীনতা পরবর্তী অত্যন্ত নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, জবাবদিহি মূলক একটি নির্বাচন তত্ত¡াবধায়ক সরকার বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহম্মেদের নেতৃত্বে হলো যেখানে সব দলের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহনে ভোট অনুষ্ঠিত হলো এবং জাতীয়তাবদী দল আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকার গঠন করলেন। কিন্তু ফল ঐ একই। স্বাধীন বাংলাদেশের যা বলার তা বলতে পারলো না। এর পর পালা বদল করে আসলেন আরেক বিশ^নেত্রী, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির রাজনৈতিক দলের আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। রাজনীতি কাকে বলে, স্বজন প্রীতি কি, নির্মম, নিষ্ঠুর, হত্যাযজ্ঞ কি, কিভাবে বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ করতে হয়, কিভাবে অধিকার ভূলুন্ঠন করা যায়, তার সবকিছু তার বাবার মতো করে তিনি ও করেছিলেন। মনে হলো দেশটা তার বাবার, স্বাধীন করেছিলো সে, তার বাবা এবং তার দল। তারা ছাড়া বাংলাদেশে আর কেউ থাকতে পারবে না। এমন স্বৈরাচারী মনোভাব বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনও দেখা যায়নি। বাংলাদেশ নামক দেশটির চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলো না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বাকরুদ্ধ হয়ে গেল। এ কেমন স্বাধীনতা। আবার কাদের পাল্লায় পড়লাম। বাংলাদেশ তো এমন স্বাধীনতা চায়নি। যাই হোক, তাদের হঠানোর জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইংল্যান্ড, অষ্ট্রেলিয়া, জার্মানি এবং এমনকি জাতিসংঘও উঠে পড়ে লেঘে গেল। কিন্তু কোন ফল আসলো না। পরিশেষে সেই বায়ান্ন ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র সংগঠনের মত, ১৯৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী ছাত্র সংগঠনের মতো, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে শপথ নেওয়া ছাত্র সংগঠন গুলোর মতো, ১৯৯০ এর গণ অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী অকুতোভয় সাহসী ছাত্রদের ন্যায় ২০২৪ সালের জুলাই থেকে শুরু করে ০৫ আগস্ট পর্যন্ত জীবন বাজী রেখে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত যত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ^ বিদ্যালয় আছে তাদের সকল ছাত্ররা যারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হিসেবে পরিচিত, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, জাতীয়তাবাদী দল (বি,এন,পি) বিভিন্ন বাম সংগঠন ও তাদের ছাত্ররা এমনকি দালাল বাটপারের মত হুসেইন মোঃ এরশাদ এর দল ও এবং বিশেষ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির একাত্মচিত্তে আন্দোলনে জীবন বাজী রেখে স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলেন। প্রতিদিন ছাত্র, অভিভাবক, সাধারণ লোক জনের হত্যার সংবাদ আমাদের কাছে আসতে লাগলো। দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন চালানো পুলিশ বাহিনী এবং সেনা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন (হেলমেট বাহিনী নামে পরিচিত) হত্যা করতে করতে, নির্যাতন চালাতে চালাতে ক্লান্ত হয়ে পড়লো এবং এমনও কথা শোনা গেছে আর কত রক্ত ঝরাবো, আর কত প্রাণ কেড়ে নেব, আর কত গুলি চালাবো, আর কত অপরাধ করবো, আর কত জনকে কারাগারে পাঠাবো। নির্যাতন চালাতে চালাতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ, মাহামুদুর রহমান মান্না সহ কারাগারে মৃত্যুর সংঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে অনেক ত্যাগী ও সাহসী নেতা এবং সাধারণ জনগনের মধ্যেও অনেকেই। এভাবে একটা স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশের ক্ষতি করা বা ধ্বংস করা বা গণতন্ত্র নস্যাৎ করার অধিকার আমাদের নেই। আমরা অনেক অন্যায় করেছি। একজনকে গুলি করলে আরও কয়েকজন ছাত্র জীবন দেবার জন্য প্রস্তুত। পরিশেষে সেনা প্রধান ওয়াকারুজ্জামানের নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করলেন। এবার জনগন মনে করেছিল, স্বাধীন বাংলাদেশ মনে করেছিল এবার বুঝি আন্দোলনটা সঠিক হয়েছে। আমি সুস্থ, সুখে শান্তিতে আমার জনগণকে সেবা দিতে পারবো। সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া, মাহফুজ, নাহিদ ইসলাম সহ রাফি, নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারীর বক্তব্যে তেমনই মনে হল। সবার মনের ভেতরে স্বস্তি ফিরে আসলো। ডঃ মোঃ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বতী কালীন সরকার গঠিত হলো। মনে করা হয়েছিল ডঃ মোঃ ইউনুস পারবেন। উনি ভুক্তভোগী। কিন্তু বিধিবাম। উনি আরেক ষড়যন্ত্রের স্বাীকার। এই ছাত্রদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, নারী কেলেংকারীসহ নানান রটনা শোনা যাচ্ছে। তারা মানবতা বিরোধী অপরাধের দোসর আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপির মত এমটি বড় দলকে ফ্যাসিবাদী অ্যাখ্যা দিয়ে তাদেরকে ও রাজনীতি থেকে গনতন্ত্র থেকে মাইনাস করতে চায়। ওয়ান ইলেভেনের সময় যেমন একটা গ্রæপ ডঃ ইউনুসের নেতৃত্বে কিংস পার্টি তৈরী করতে চেয়েছিলো। বাংলাদেশ এখন সেই দিকে ধাবিত হচ্ছে। কিন্তু নতুন নতুন ছাত্রনেতারা, তোমাদের জানতে হবে এর নাম বাংলাদেশ। এর মা, এর মাটি, এর মানুষ দুর্জয় ঘাটি। যারা তোমাদেরকে ব্যবহার করতে চায়, যারা স্বাধীনতাকে অস্বীকার করতে চায়, যারা নতুন করে বাংলাদেশ পাকিস্তান বানাতে চায় তাদের থেকে সাবধান হয়ে যাও। তাদের ফাঁদে পা দিও না। তোমাদের এ দেশের জনগণ পছন্দ করেছে। তোমাদের উপর আস্থা রেখেছে, তোমাদের উপর বিশ^াস রেখেছে, তোমরা অতবড় ফাঁদে পা দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে, সার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করার চিন্তা করো না। জাতি তোমাদের ক্ষমা করবে না। সংবিধান পরিবর্তন করতে পারে, বিভিন্ন ইস্যুতে, সংস্কার হতে পারে বা করতে পারে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করতে পারে নির্বাচিত সরকার। নির্বাচিত সরকারের জন প্রতিনিধীরাই সবকিছু করতে পারে। যারা ঘুষ নিয়েছে, বড় বড় দুর্নীতি করেছে, যারা মানুষ খুন করেছে, নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে, গুম করেছে, সম্পদের অপব্যবহার করেছে, যেসমস্ত বিচারক অবিচার করে সহজ সরল নিষ্পাপ মানুষদের জেলে পাঠিয়েছে, ফাসি দিয়েছে, যে সমস্ত পুলিশ কর্মকর্তা নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে, কোমলমতির নিষ্পাপ ছাত্রদের উপর বুলেটের আঘাত এনেছে, মায়ের কোল ছাড়া করেছে, স্ত্রীকে বিধবা করেছে, সন্তানকে এতিম বানিয়েছে, যে সমস্ত ডি.সি, ইউ.এন.ও সহ বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষকরা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না এমনই ¯েøাগান দিতে হবে। এমনই অঙ্গিকার তোমাদের করতে হবে। তবে বাংলাদেশ তোমাদেরকে মনে রাখবে। এদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ কে এবং স্বাধীনতাকে মুছে ফেলা যাবে না। এটাই হোক আজ আমাদের অঙ্গীকার আর সেই সপথই নিতে হবে তোমাদের মত অকুতোভয় সাহসী সৈনিকদের যারা নিঃস্বার্থভাবে বাংলাদেশকে নতুন ভাবে গড়বে।
লেখক: জহিরুল ইসলাম শাহীন
সহঃ অধ্যাপক
বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ
কলারোয়া, সাতক্ষীরা।