কলারোয়ায় ঈদকে সামনে রেখে নকল জুতায় সয়ালব উপজেলার বিভিন্ন বাজারের জুতার দোকান। লিবাটি ও স¤্রাট জুতার নামিদামি কোম্পানীর ব্রান্ডের লোগো অবিকল নকল করে স্যান্ডেল ও সুজ তৈরী ও বিক্রয় করতে দেখা যায়। এতে করে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ভোক্তারা। কলারোয়া উপজেলা পৌর সদর পাইলট স্কুলের সামনে সীমান্ত সুজ ও উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নে পাটুলিয়া বাজারে হিরা সুজ নামে কারখানায় এই ধরনের জুতা বানাতে দেখা যায়। সরে জমিনে যেয়ে দেখা যায় হিরা সুজ ও সিমান্ত সুজ নামের কারখানায় লিবাটি ও স¤্রাট সুজ ব্রান্ডের প্যাকেট(বক্স) ব্রান্ড অবিকল নকল স্যান্ডেল ও সুজ তৈরী করতে । কারখানার মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন ও দিনু তাদের কাছে কাগজ পত্র বিষয় জানতে চাইলে ট্রেড লাইঃ ছাড়া অন্য কোন বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারে নি। কলারোয়া বাজারে নামি দামি দোকানে এবং গ্রামাঞ্চলের দোকানে এই সব জুতা ও স্যান্ডেল বিক্রয় করছে বলে তারা বলেন। এই সব জুতা কম দামে কিনে অধিক মুনাফায় বিক্রয় করছে দোকানের মালিকরা , এতে করে ঠকছে সাধারণ ক্রেতারা। যা ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা ছাড়া কিছুই না।কলারোয়া বাজারে বিভিন্ জুতার দোকান ঘুরে দেখা যায় স¤্রাট ও লিবাটি জুতার বক্সে একেক রকম রেজিঃ নাম্বার। কলারোয়া বাজারে জুতা কিনতে আসা এক ক্রেতা আসাদুল ইসলাম কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি লিবাটি ব্রান্ড কোম্পানী হিসেবে কিনলাম কিন্তু আসল না নকল বুঝলাম না। বর্তমান বাজারে গ্রামাঞ্চল থেকে অশিক্ষীত মহিলা ক্রেতার সংখ্যা বেশী দেখা যাচ্ছে এতে করে এ সব নকল পন্য ভুল বুঝিয়ে বিক্রয় করে অনেক লাভবান হচ্ছেন দোকানদারা। নকল ব্রান্ড তৈরীর বিষয় হিরা সুজ কারখানার মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন কে জানতে চাইলে তিনি বলেন ব্রান্ড নকল করা অন্যায় হচ্ছে,আমরা ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা করছি। সিমান্ত সুজ কারখানার মালিক দিনু বলেন আমি বহু দিন ধরে বানায় এবং অন্য বছরের চেয়ে এবার বেশী বিক্রয় হচ্ছে। এ সব নকল পন্য বাজারে বিক্রয় করতে না পারে তার জন্য আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য জোর দাবী করেন ক্রেতাগণ।
