আশাশুনিতে ক্যালকুলেটর কেড়ে নেওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা বিপর্যস্থ!
News Desk
প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৩, ২০২৫, ৯:২৭ অপরাহ্ন /
০
-
আশাশুনি উপজেলা সদরে এসএসসি পরীক্ষা হলে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ক্যালকুলেটর কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে পরীক্ষার্থীরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় বহু নির্বাচনী শেষ করতে পারেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিভাবকদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদনের প্রস্তুতি চলছে।
আশাশুনি মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেন্যু কেন্দ্র আশাশুনি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এর পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে রুবাইদ আফরোজ, মোছাঃ আনোয়ারা, রোকেয়া খাতুন, বেবেকা সুলতানা, শামীমা নাসরিন, সাজেদা বেগম, আঃ রহিম ছোটসহ ১৯ জন অভিভাবক স্বাক্ষরিত ইউএনও আশাশুনি বরাবর লিখিত দরখাস্ত সূত্রে জানাগেছে, ২১ এপ্রিল গণিত পরীক্ষার দিন ভেন্যু কেন্দ্রের প্রধান গেট থেকে সহকারী কেন্দ্র সচিব পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০০ মডেলের বেশী মডেলের ক্যালকুলেটর নিয়ে নিচ্ছিলেন। তখন আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাজহারুল ইসলাম উপস্থিত হয়ে বলেন, শুধুমাত্র প্রোগ্রামার লেখা ক্যালকুলেটর ছাড়া বাকি ক্যালকুলেটর পরীক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারবে। তখন ক্যালকুলেটরগুলো প্রোগ্রামারেবল না হওয়ায় তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে অনেকের ভাষ্য উদ্দেশ্যমুলক ভাবে পরীক্ষা শুরু হওয়ার সাথে সাথে কেন্দ্রের ১, ২ ও ৩ নং কক্ষের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবারও ক্যালকুলেটরগুলো কেড়ে নেওয়া হয়। অনেকের কাছ থেকে ক্যালকুলেটর কেড়ে না নিলেও তারা ভয়ে ক্যালকুলেটর পকেট থেকে বের করতে সাহস পায়নি। ফলে পরীক্ষার্থীরা যথা সময়ে বহু নির্বাচনী শেষ করতে পারেনি। তাদের ধারণা কক্ষগুলোর বেশীর ভাগ পরীক্ষার্থীরা ক্যালকুলেটরের অভাবে গণিতের বহু নির্বাচনীতে ফেল করবে। এছাড়া ১, ২, ৩ ও ৪ নং কক্ষ থেকে জ্যামিতি বক্সগুলোও কক্ষ পরিদর্শকরা বাইরে বের করে দেন। ফলে পরীক্ষার্থীদেরকে তাদের কলম, পেনসিল, জ্যামিতি বক্সের যন্ত্রাংশ ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় পরীক্ষা শেষ করতে হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা মানসিক চাপে বিপর্যস্থ হয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় সাবলিল ভাবে উত্তর লিখতে বিড়ম্বনায় পড়েছে।
এব্যাপারে হল সুপার কৃষ্ণপদ মন্ডল জানান, আমি মূল কেন্দ্রের দায়িত্বে, বিষয়টি জানার পর ক্যালকুলেটর ফেরতের ব্যবস্থা করা হয়।
আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম জানান, ঐদিন গার্লস স্কুল গেটের মুখে পরীক্ষার্থীদের থেকে ক্যালকুলেটর নিয়ে নেওয়া হচ্ছিল, আমি তখন বলি ১০০ মডেলের বেশী ক্যালকুলেটর পরীক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারবে। তখন ফেরত দেওয়া হয়, কিন্তু পরীক্ষা শুরুর সাথে সাথে পুনরায় পরীক্ষার্থী আমার মেয়েসহ অনেকের কাছ থেকে ক্যালকুলেটর কেড়ে নেওয়া হয়। পরবরবতীতে কারো ফেরত দিয়েছে, কাউকে কাউকে দেয়া হয়নি। ফলে পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান জানান, এমন কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় বলেন, এমন ঘটনা আমার জানা নেই। দরখাস্ত পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :